ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ছেলে ও পুত্রবধুর বিরুদ্ধে পিতার মামলা!

mamla-300x160নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় ছেলে ও পুত্র বধুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন পিতা। জোর করে ব্যবসা প্রতিষ্টানে হানা দিয়ে ওই প্রতিষ্টানের নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে ছেলের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী। জায়গার বিরোধ নিয়ে অবাধ্য ছেলে বয়োবৃদ্ধ পিতার দীর্ঘ ৫০বছরের ব্যবসা প্রতিষ্টান জবর-দখলে নিতে নিজের স্ত্রীকে রাতে দোকানে ঢুকিয়ে দেয়। ওই ঘটনার জের ধরে আপন সহোদরের মধ্যে বনিবনা চলছিল। বড় ভাই আপন ছোট ভাইকে চুরিকাঘাত করে দোকান থেকে সর্বস্ব লুটে নেয়। এদিকে ওই ঘটনায় পিতা তার বড় ছেলে ও পুত্র বধুকে বিবাদি করে গতকাল রবিবার চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-। বিজ্ঞ হাকিম বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য কক্সবাজার পুলিশ সুপারকে এর দায়িত্বভার ন্যস্ত করেন। মামলাসুত্রে জানা গেছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পুর্ব গোঁয়াখালী এলাকার নুরুল ইসলাম প্রকাশ পুতুন সওদাগরের পেকুয়া বাজারস্থ ইলেক্ট্রিক ও হার্ডওয়ার দোকানে গত ৩মার্চ সকালে তার বড় ছেলে আনোয়ার হোসেন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আকষ্মিক হানা দেয়। এ সময় ছোট ছেলে ব্যবসায়ী আমির হোসেনকে চুরিকাঘাত করে ওই প্রতিষ্টান থেকে নগদ দু’লক্ষ বিশ হাজার পাঁচশত টাকা ও লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। জানা গেছে গত ৮ ফেব্রুয়ারী আনোয়ার একই কায়দায় ওই প্রতিষ্টান দখলে নিতে রাতে তার স্ত্রী মর্জিনা সোলতানা রেনুকে দোকানে ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় পেকুয়া থানার পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের যৌথ প্রচেষ্টায় পুতুন সওদাগরের ব্যবসা প্রতিষ্টান থেকে প্রায় ৬ঘন্টা পর ওই মহিলাকে বিতাড়িত করে। মামলাসুত্রে আরো জানা গেছে দোকান দখলকে কেন্দ্র করে অবাধ্য ছেলে আনোয়ার তার পিতা পুতুন সওদাগরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে পিতার হাত ভেঙ্গে যায়। ওই ঘটনায় পিতা বাদি হয়ে একই আদালতে পৃথক দু’টি মামলা হয়। মামলায় আনোয়ার জেলও খাটেন। একইভাবে ছোট ভাই আমির হোসেনকেও প্রতিষ্টানে দু’বার হামলা চালিয়ে আহত করা হয়। এ ব্যাপারে মামলার বাদি নুরুল ইসলাম প্রকাশ পুতুন সওদাগর জানান দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে আনোয়ার। এ প্রতিষ্টানের আয়ের উৎস থেকে আমার সংসার চলে। কয়েকবার দোকান দখলের চেষ্টা করে। সর্বশেষ ওই দিন আনোয়ার ভাড়াটে লোকজন নিয়ে জোর করে দোকানে ঢুকে আমার অপর ছেলেকে চুরি মেরে টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়। পুলিশের কাছে গিয়েছি। তারা কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি। ওসি জিয়া অভিযোগ না নিয়ে আমাকে উল্টো ধমকি দেয়। আমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে গিয়েছি। তিনি পুলিশকে এ বিষয়ে সহযোগিতার নির্দেশনা দেন। অসহযোগিতা করায় আদালতে গিয়েছি। হয়রানি আমর সহ্য হচ্ছেনা। পুলিশ আমাকে সহযোগিতা না করে আনোয়ারের কাছে ম্যানেজ হয়েছে।

পাঠকের মতামত: